মেয়েদের জরায়ু ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি
মেয়েদের জরায়ু ক্যান্সার (গর্ভাশয় বা সার্ভিকাল ক্যান্সার) সাধারণত হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (HPV) নামক ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয়, যা যৌন সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়। তবে কিছু অন্যান্য কারণও রয়েছে, যা এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে:
হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (HPV) সংক্রমণ: এটি সবচেয়ে বড় কারণ। HPV-এর কিছু ধরন জরায়ু ক্যান্সারের জন্য দায়ী।
১.ধূমপান:
ধূমপান মহিলাদের মধ্যে জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
২. দীর্ঘদিন জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল গ্রহণ করা:
যারা দীর্ঘদিন ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন করেন, তাদের জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
৩.কয়েকজন যৌন সঙ্গী থাকা:
বেশি সংখ্যক যৌন সঙ্গী থাকলে
HPV সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
অল্প বয়সে যৌনমিলন শুরু করা:
কম বয়সে যৌনমিলন শুরু করলেও এই ঝুঁকি বাড়ে।
দীর্ঘমেয়াদি ইমিউন সিস্টেম দুর্বলতা: যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়, যেমন HIV পজিটিভ হলে, জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া যায়, যা নারীদের এই ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে:
HPV ভ্যাকসিন গ্রহণ: হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (HPV) সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য HPV ভ্যাকসিন একটি কার্যকর উপায়। ৯ থেকে ২৬ বছর বয়সের মেয়েরা এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করলে জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
নিয়মিত প্যাপ স্মিয়ার পরীক্ষা: নিয়মিত প্যাপ টেস্ট করালে জরায়ু ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা সম্ভব হয়, যা নিরাময়যোগ্য। সাধারণত ২১ বছর বয়স থেকে নারীদের নিয়মিত প্যাপ স্মিয়ার পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
HPV পরীক্ষার মাধ্যমে স্ক্রিনিং: যারা ৩০ বছরের বেশি বয়সী, তাদের জন্য প্যাপ টেস্টের সাথে HPV টেস্ট করা জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি মূল্যায়নে সহায়ক হতে পারে।
নিরাপদ যৌন জীবনযাপন: যৌন সংক্রামিত রোগ থেকে সুরক্ষা পেতে কনডম ব্যবহার করা উচিত। যৌন সঙ্গীর সংখ্যা কমানো এবং নিরাপদ যৌন অভ্যাস বজায় রাখাও জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।
ধূমপান বন্ধ করা: ধূমপান জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ধূমপান ত্যাগ করা এই ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: সুষম খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।
এই পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করলে জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব।
Tags:
স্বাস্থ্য বিষয়ক টিপস