নিদ্রাহীন থাকলে শরীরের যেসব ক্ষতি হতে পারে
১. মস্তিষ্ক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি:
স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয় – মস্তিষ্ক তথ্য সংরক্ষণ ও মনে রাখার ক্ষমতা হারাতে পারে। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় – হতাশা, উদ্বেগ ও খারাপ মেজাজ বাড়তে পারে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কমে যায় – চিন্তাভাবনায় ধীরগতি আসে ও ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
২. দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়:
শরীর সহজেই ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি নিদ্রাহীনতা হলে সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষমতা মারাত্মকভাবে কমে যায়।
৩. হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বৃদ্ধি:
দীর্ঘদিন ঘুমের অভাব থাকলে উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হতে পারে। হৃদপিণ্ডের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
৪. ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি:
৫. ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি:
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায় ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস হতে পারে।
৬. যৌনক্ষমতা হ্রাস:
দীর্ঘদিন ঘুম না হলে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যায়, ফলে যৌন আকাঙ্ক্ষা ও কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।
৭. গায়ের ক্লান্তি ও দুর্বলতা:
সারাদিন শরীর দুর্বল লাগে, মাংসপেশিতে ব্যথা হয়, এবং কাজ করার এনার্জি কমে যায়।
৮. ত্বকের ক্ষতি ও বয়সের ছাপ:
ঘুম কম হলে ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায়, চোখের নিচে কালি পড়ে এবং ত্বক দ্রুত বুড়িয়ে যেতে পারে।
উপসংহার:
প্রতিদিন ৭-৯ ঘণ্টা পর্যাপ্ত ও নিরবচ্ছিন্ন ঘুম নেওয়া শরীরের জন্য অপরিহার্য। যদি আপনি নিয়মিত অনিদ্রায় ভুগে থাকেন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।